বানারীপাড়া প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় চিকিৎসকের দায়িত্ব অবহেলায় অপারেশন টেবিলে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে এমনটা অভিযোগ করেছেন প্রসূতির স্বামী জসিম হাওলাদার। উপজেলার চাখার ইউনিয়নের বড় ভৈৎসর গ্রামের জসিম হাওলাদার তার গর্ভবতী স্ত্রী লাবলী বেগমকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বানারীপাড়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। এ সময় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কবির হাসান রোগীকে দেখে নির্ধারিত ডায়গনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট দিয়ে ভর্তি হতে বলেন। পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর সকালে এক নার্স এসে বলেন আজ আপনার সিজার করা হবে। ভ্যানচালক জসিমকে ওষুধ নিয়ে আসতে বললে জসিম ওষুধ আনতে যায়। এই সময় লাবলী জসিমকে খুজতে দোতলা থেকে হেটে নিচে আসে। পুরোপুরি সুস্থ অবস্থায় লাবলী বেগমকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। অপারেশন শেষে এক সেবিকা সদ্যজাত সন্তানকে দাদীর কোলে দিয়ে বলে মায়ের অবস্থা ভাল না। ৩/৪ মিনিট পরে জানানো হয় প্রসূতি ওই নারী মারা গেছেন। এমনটাই জানায় লাবলীর স্বামী জসিম। তখনই তারাহুরো করে কোন ধরনের ছাড়পত্র না দিয়ে সরকারী এম্বুলেন্সে করে লাশ পাঠিয়ে দেয়া হয় চাখারে। জসিমের মা জানায় তার সুস্থ পুত্রবধূকে ভুল চিকিৎসা করে ডাঃ কবির হাসান মেরে ফেলেছে। মৃত লাবলীর ভাই মোঃ বাবলু বলেন তাদেরকে এক প্রকার জোর করে হাসপাতাল থেকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য সোহেল বলেন ডাক্তারদের দায়িত্ব অবহেলায় যদি প্রসূতি নারীর মৃত্যুহয়ে থাকে তাহলে এর সঠিক বিচারের জন্য যতোদূর যেতে হয় আমি যাব। আর এই লাশ নিয়ে কেহ অর্থ বানিজ্য করবে তা আমি হতে দিব না। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার এস এম কবির হাসান বলেন, প্রসূতি লাভলী বেগমকে আরো এক মাস পূর্বে হাসপাতালে ভর্তির জন্য বলা হয়েছিল কিন্তু ভর্তি করায়নি। তবে শনিবার লাভলীর সফল অপারেশনের পর রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং হার্ট এ্যাটাক করে। আমাদের সকল চেস্টা ব্যর্থ হয় এবং তার মৃত্যু হয়। রোববার সকাল ৯ টায় মৃতের লাশ দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়ে বরিশাল সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান, যদি সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের অবহেলায় প্রসূতি মারা যায় এর অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে মা হারা সদ্যজাত সন্তান নিয়ে বিপাকে পরেছেন দিন মজুর পিতা।
Leave a Reply